কলেজ ছাত্রী অন্বেষা চৌধুরী ওরফে আশা (২০)-এর সঙ্গে দীর্ঘ ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল চা দোকানের কর্মচারী জয় বড়ুয়ার (২৬)। হঠাৎ প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে ফ্রান্স প্রবাসী যুবকের সঙ্গে। বিয়ের খবর শুনেই কৌশলে প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে প্রেমিক জয়। পরে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজেও আত্মহ’ত্যা করে সে। রোববার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি ভগবান দারোগা বাড়ি এলাকায় ।
জানা গেছে, আত্মহ’ত্যা করা জয় বড়ুয়া মহামুনি বড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা নিলেন্দু বড়ুয়া নিলুর ছেলে। সে একটি চায়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। খুন হওয়া আশা পাহাড়তলী ইউনিয়নের উদয়ন চৌধুরী বাড়ি এলাকার রনজিত চৌধুরী বাবলুর মেয়ে।
পুলিশ সূত্র জানায়, জয় ও অন্বেষার প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ ১০ বছরের। তবে চায়ের দোকানের কর্মচারী হওয়ায় জয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না মেয়েটির পরিবার।
সম্প্রতি ফ্রান্স থেকে আসা এক যুবকের সঙ্গে অন্বেষার বিয়ে ঠিক করে পরিবার। আগামী ১০ মার্চ বিয়ের দিনক্ষণও ঠিক হয়। সেই বিয়েতে একপর্যায়ে রাজিও হয় অন্বেষা। বিষয়টি জেনে ক্ষুব্ধ হন জয়। পরিকল্পনা করেন অন্বেষাকে মেরে নিজেও মরে যাওয়ার।
ঘটনার দিন (রোববার) কৌশলে অন্বেষাকে ডেকে আনে জয়। এরপর তাকে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যান। প্রথমে অন্বেষার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বা’সরোধ করে জয়। মৃ’ত্যু নিশ্চিত করতে অন্বেষার গলায় একটি ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। অন্বেষার মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজের শার্ট ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে ঝুলে আত্মহত্যা করেন জয়।
পরে স্থানীয়রা জয়কে ঝুলন্ত অবস্থায় ও অন্বেষাকে মেঝেতে খুন হওয়া অবস্থায় উদ্ধার করেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের একটি টিম। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।